আমাদের বিদ্যালয়
সমগ্র অশোকনগরবাসীর কাছে অশোকনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় প্রিয় একটি নাম। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত তারা প্র্ত্যেকে এই গর্বের অংশীদার ৷ আমাদের এই প্রিয় বিদ্যালয় দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পর ২০১৫র ৯ই জানুয়ারীতে ষাট বৎসর অর্থাৎ হীরক জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করল৷ এটি নিঃসন্দেহে আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের ঘটনা৷ কারণ কি ব্যক্তি জীবনে কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে ষাট বৎসর সামান্য সময় নয়৷নেপথ্যে থেকে যায় জানা অজানা কত কাহিনী৷ আদর্শ স্কুল আজ পত্রে পুষ্পে পল্লবে বিকশিত সকলের কাছে আদর্শ স্থানীয়৷ কিন্তু এটি তো একদিনে গড়ে ওঠে নি৷ উত্থানের পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ন হয় না৷ কত জনের আত্মত্যাগ কত জনের অবদান আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়কে বর্তমান রূপে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে আজ সময় এসেছে তাদের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার এবং তাদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করার৷
স্বভূমি থেকে বিতাড়িত ছিন্নমূল কিছু মানুষ অনুভব করেছিলেন একমাত্র উপযুক্ত শিক্ষাই দিতে পারে তাদের মর্যাদা পূর্ণ সমৃদ্ধ জীবন আর তারা এ ও বিশ্বাস করতেন শিক্ষিত মাতাই পারে সন্তানকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে৷ এই অনুভবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রদ্ধেয় অসিত রঞ্জন দাশগুপ্ত মহাশয় যিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক , শ্রদ্ধেয় বিনোদ বিহারী বন্দোপাধ্যায়, শ্রদ্ধেয় বীরেশ্বর চক্রবর্তী এবং শ্রদ্ধেয় সতীশ চন্দ্র ঘোষ মহাশয় ১৯৫৬ সালের ৯ই জানুয়ারী শুভ লগ্নে অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা অসংখ্য প্রতিকূলতা অতিক্রম করে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তাদের অনেক সাধের অনেক স্বপ্নের অশোকনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়৷
এই মহাপ্রাণ মানুষদের প্রচেষ্টাকে সার্থক করে তুলেছে আমাদের অগণিত ছাত্রীসকল৷ সুদীর্ঘ ষাট বৎসরের ইতিহাসে বর্ষে বর্ষে দলে দলে যে সব ছাত্রীরা এই বিদ্যায়তনের সমাপন করে বাইরের জগতে পা রেখেছে তারা আজ দেশে বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত ও যশস্বিনী হতে পেরেছে৷ কেউ কেউ আমেরিকার নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনারত আবার কেউ গবেষণায় নিরত৷ দেশে ও বিদেশে আমাদের বহু ছাত্রী অধ্রাপনা শিক্ষকতা করছে,আবার প্রশাসনিক উচ্চপদে ওআসীনা রয়েছে সফল চিকিৎসক, ইঞ্জিনীয়ার ,প্রতিষ্ঠিত গায়িকা, নৃত্যশিল্পী নাট্যকর্মী ও আছে৷অশোকনগরবাসী বহু ছাত্রীর কন্যারাও এখন এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী৷ এই ঐতিহ্যপূর্ণ পরম্পরা আমাদের গর্বের বস্তু৷
আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এতদ্ অঞ্চলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য স্থান গ্রহণ করে থাকে। আবার সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তাদের সাফল্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে৷ খেলা ধূলাতেও তারা অগ্রনী ভূমিকা গ্রহণ করে ৷বহু ছাত্রী মহকুমা,জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যস্তরেও পুরস্কৃত হয়েছে৷
Sent Your Information